গায়েবানা নামাজ শেষে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেনের আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন– দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান জুয়েল, তুরাগ থানার বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া তামান, দিল মোহাম্মদ, মো. নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানায় ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারী শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারি মো. শামছুল আলম মিন্টু, বিএনপি নেতা এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মো. আবুল বাশার ভুইয়া, ফজলুর রহমান, ইকতারুল ইসলাম মিতু, মো. মাছুম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন, মো. কামরুল হাসান, মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রারিব, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহমেদ, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন।
এদিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে বিএনপি। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০০/৫০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন মোড়ে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের অনুরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু তারা তা অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় পাকা যানবাহনে ভাঙ্গচুর করে।
ওই ঘটনায় পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. আলাউন হক বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিন উন নবী খান সোহেলসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।