বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মিছিল শেষে সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধরা।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘মব-ভায়োলেন্সের মাধ্যমে গতকাল (বুধবার) ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা এসকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছিল, সেই হাসিনার পতন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের মাঝে যে আকাঙ্খা তৈরি করেছে তাতে প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা প্রাথমিক কর্তব্য বলে মনে করি। আমরা অবিলম্বে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচারবহির্ভূত এসকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করি। একইসঙ্গে মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থি যেসকল আইন রয়েছে অবিলম্বে সেগুলো বাতিল করার দাবি জানাই।’ নেতারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উপর হামলা ও লুটপাট চলছে। আমরা অবিলম্বে হামলা ও লুটপাট বন্ধ করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেখক-নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের সংগঠন জিহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'র(জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তসহ নেতারা।
মশাল মিছিলে সংহতি জানিয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংবাদিক সাইয়েদা গুলরুখ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডির) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পিরাচা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক অনুপম রায় রূপক, ঢাকা নগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আল-আমিন রহমানসহ অন্যরা।