ষোলতম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। আগামী ২৩-২৪ অক্টোবর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা ত্যাগ করবেন পররাষ্ট্র সচিব।
ব্রিকসের ১০টি সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও এবার আউটরিচ প্রোগ্রামের আতওায় ১৯টি দেশের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বৈঠকে সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা করবে। যদি সেটি না হয় অন্তত অংশীদার দেশ হওয়ার জন্য চেষ্টা করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্রিকসে বাংলাদেশ সদস্য হতে চায়– এ বিষয়ে গত জুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। অবশ্য একই চিঠিতে বলা হয়েছিল— সদস্য হতে না পারলেও অংশীদার দেশ হিসেবে বিবেচিত হতে চায় বাংলাদেশ।’
‘ব্রিকসের কোনও সদর দফতর নেই এবং যে দেশ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবালয়ের কার্যক্রম পালন করে। বর্তমানে ব্রিকসের চেয়ারম্যান হচ্ছে রাশিয়া’, বলে তিনি জানান।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
ব্রিকসের ১০টি সদস্য রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সময়ে কাকে সদস্য করা হবে এবং এটি হবে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যে বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, সেটিকে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জ করছে ব্রিকস। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়— আর্জেন্টিনাকে ব্রিকসের সদস্য পদ দেওয়া হলেও ওই সংস্থায় সদস্য হতে অস্বীকৃতি জানায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। এর কারণ ছিল পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে অস্বস্থিকর সম্পর্ক তৈরি করতে চায়নি আর্জেন্টিনা।
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সদস্য পদ পাওয়া একটি রাজনৈতিক বিষয়। বাংলাদেশের আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে। এখন দরকার রাজনৈতিক পর্যায়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো।’
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাই। এর অংশ হিসেবে আমি ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবো।’
সব সম্ভাবনার দরজা খোলা রাখবে বাংলাদেশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়াতে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। তাদের কারও কারও সঙ্গে আমার সাইডলাইনে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে।’