বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৩তম গেজেট থেকে বাদ পড়া ১৬৮ জনকে চলতি মাসের ৫ জানুয়ারির মধ্যে পুনরায় গেজেটভুক্ত ও যোগদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বাদ পড়া ক্যাডাররা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুমা আক্তার বলেন, আমরা দীর্ঘ ৪ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে সততা ও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক ২৬টি ক্যাডারে ২১৬৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীকালে সুপারিশপ্রাপ্তদের কয়েক দফায় তদন্ত সাপেক্ষে ১০ মাস পর গত বছরের ১৫ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই গেজেটে যোগদানের তারিখ ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ২৮ অক্টোবর আমাদের যোগদান পিছিয়ে এই বছরের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা ১ জানুয়ারি যোগদানের নির্দেশনা মোতাবেক সব প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং আমাদের বহু সহকর্মী পূর্ববর্তী চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এমনকি সুপারিশপ্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে আমাদের অনেকেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একাধিক চাকরির সুযোগ লাভ করলেও যোগদান করেননি। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায়ও অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু আমরা প্রথম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হলেও ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত গেজেটে ১৬৮ জন সহ সর্বমোট ২২২ জন প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়। এমতাবস্থায়, অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাওয়ায় ২২২ জন প্রার্থী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
মাসুমা বলেন, জুলাই বিপ্লবের পথ ধরে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য তা পূরণে মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক সিভিল সার্ভিসের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত এবং গেজেট প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও পুনঃপ্রকাশিত গেজেটে অজ্ঞাত কারণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের পরিপন্থি। যা একইসঙ্গে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক।
এসময় তারা এক দফা দাবি জানিয়ে বলেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডার অফিসারদের নাম গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি সব ক্যাডারদের সঙ্গে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে।