রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ধানমন্ডি থানার একজন পুলিশ সদস্য আসাদুল ও ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশানার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামানের নাম জানা গেছে। এছাড়া এ সংঘর্ষে আহত আইডিয়াল কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন, আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইরফান আহমেদ (১৮), মাহিন আহামেদ মনু (২০), রিয়ন (১৮), ইয়ামিন (১৭), আরমান (১৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, আগের কোনও বিষয়ে ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। ঘটনার পর দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের যার যার ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিলেও সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত রয়েছে।
এর আগে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর সড়কের যান চলাচল। ঘটনার শুরু থেকেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় থানা পুলিশ। পরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে বিকাল ৫টার পর দুই পক্ষই রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহতদের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালে আইডিয়াল কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আনা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতরসহ পাঁচ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী ইয়াসিন আহমেদ ইমন অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আজ দুপুরে দিকে আমাদের এক শিক্ষার্থীকে আজিমপুর এলাকায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় তারা দফায় দফায় রাস্তায় আমাদের যাকে পেরেছে, তাকেই মারধর করে। পরে আমাদের কলেজের পরীক্ষা শেষে বিকালে বের হয়ে যাওয়ার সময়ে তারা হামলা চালায়, তখন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জনের মতো আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে আহত ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশানার এসি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি আগের কোনও ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কিনা, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আমিসহ আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।