রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর ছবিরুল ইসলাম হাওলাদারকে পদ থেকে এবং পরবর্তী সময়ে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ছবিরুল ইসলামের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আকরাম এইচ চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম মাহিদুল ইসলাম সজিব।
এছাড়া ছবিরুল ইসলামকে দেওয়া অব্যাহতি আদেশটি কেনও অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হবে না এবং কেনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান পদে তার তিন বছরের মেয়াদ শেষ করা পর্যন্ত পুনর্বহালের নির্দেশনা দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিষ্ট্রারসহ মোট চার বিবাদীদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ডক্টর ছবিরুল জানান, আরবি বিভাগের শিক্ষকদের একটি সুবিধাবাদী গ্রুপ জোরপূর্বক ও অন্যায়ভাবে আমার অনুপস্থিতিতে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর আমার অফিস দখল ও সেখানে লুটপাট চালায়। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের তোয়াক্কা না করে তারা অবৈধভাবে আমার বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা’ প্রস্তাব পাস করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে আমলে নিয়ে প্রথমে চেয়ারম্যান পদ ও পরবর্তী সময়ে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অন্যায়, অবৈধভাবে অব্যাহতি প্রদান করে— যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বে আরবি বিভাগের উত্তরোত্তর উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু শিক্ষক মিথ্যা প্রচারণা করে। এমনকি আমার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে থাকা নিয়মকেও অনুসরণ করা হয়নি।