ঢাকার উত্তরায় এক দম্পতিকে কোপানোর ভাইরাল ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড শুনানিতে বিচারক বলেছেন, রাতে ভিডিওটি দেখে ঘুমিয়েছি। আজকের প্রথম আলোর হেড নিউজ এটা। সবখানে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এসব কথা বলেন। এদিন আসামিদের সাড়ে ৩টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর হাতকড়া পরিয়ে বিকাল ৪টায় তাদের আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক এলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. দ্বীন ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এসময় বিচারক বলেন, এ মামলার ভিডিও কে কে দেখেছেন? রামদা কার হাতে ছিলো? জবাবে আসামি মোবারক হোসেন ও রবি রায় বলেন, রামদা আমাদের কাছে ছিলো না।
পরে বিচারক বলেন, মামলার আইনজীবী কে কে? অন্যরা চেয়ারে বসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মুরাদ হোসেন শুনানির জন্য হাত তোলেন। এরপর তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত ন্যাক্করজনক ঘটনা। কিন্তু এরা এ মামলার প্রকৃত আসামি না। প্রকৃত আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ভিডিওর আসামিদের চেহারা ও কাপড়ের রঙের সঙ্গে এদের মিল নেই।
পরে বিচারক আসামিদের বাড়ি কোথায় জানতে চান। তারা ঢাকার টঙ্গী এলাকার কথা জানান। বিচারক জিজ্ঞেস করেন, সেখানে কী কাজ ছিলো? তারা বলেন, আমরা রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। বিচারক রবি রয়ের মাথায় ব্যান্ডেজ থাকা কারণ জানতে চেয়ে বলেন, আপনি (রবি রয়) কী করতেছিলেন। আপনাকে কেন মারছে? রবি রয় বলে, আমরা ওই দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার ভাতিজার জন্মদিন। কেক কিনতে যাচ্ছিলাম। পরে তারা ভুল বুঝে আমার ওপর হামলা করে।
বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দ্বীন ইসলামের কাছে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্র জনতা ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে মারধর করে পুলিশে দেয়। তারা আমাদের তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে। পরে বিচারক আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ছাত্র-জনতা তাদের ধরে দিয়েছেন। আপনার কথায় সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করুক। পরে তিনি দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার বাদী নাসরিন আকতার ইপ্তি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মাথায় ব্যান্ডেজ থাকা মানুষটা আমাদের সঙ্গে বেশি ঝামেলা করছে। সে আমাদের দুজনের ওপর প্রথম হামলা করে ও খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। সেই বাইকে ছিলো। রিক্সার সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগায় আমরা বলেছি, ঝামেলা কইরেন না। এরপর সে তার গ্যাংকে ফোন দেয়। দুই মিনিটের মাথায় তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমার স্বামীর এখনও অপারেশন চলছে।