রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’র ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলা দুটি করেন। অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেফতার পাঁচ জনকে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, চাঁদ উদ্যান এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। নিহত, গ্রেফতার ও পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’র সময় দুই ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন— জুম্মন (২৫) ও মিরাজ হোসেন (২৬)। এসময় অস্ত্র-গুলিসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন— মো. মিরাজ (২৫), আল আমিন (২৪), মোহাম্মদ হোসেন (২৩), মোমিনুল (২০) ও মেহেদি হাসান (১৯)।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মোহাম্মদপুরে গ্রেফতার পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত, গ্রেফতার ও পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা একতলা একটি বাড়ির ছোট খুপরি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকজন টিনের চালার ওপর উঠেছিলেন। যৌথবাহিনী আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু আত্মসমর্পণ না করে টিনের চালার ওপর থেকে ব্যক্তিরা যৌথ বাহিনীর দিকে গুলি করেন। তখন যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
যৌথ বাহিনীর ওপর হামলাকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহত জুম্মনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। আর একই থানায় মিরাজের বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান মামলার বরাত দিয়ে জানান, হত্যা মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে যৌথ বাহিনী চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় একতলা একটি বাড়ির টিনের চালার ওপর থেকে সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। পরে বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে টিনের চালার ওপর থেকে জুম্মন ও মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্য মামলা প্রসঙ্গে ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, চাঁদ উদ্যানের বাড়িটি থেকে একটি পিস্তল, চারটি গুলি, একটি চাপাতিসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। আটক পাঁচ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।