দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মতো রেশন সুবিধা চেয়েছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এজন্য বুধবার (১২ মার্চ) খাদ্য উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটির দিনসহ অফিস সময়ের পরও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত আর্থিক কোনও সুবিধা অর্থাৎ রেশন কিংবা সচিবালয় ভাতা দেওয়া হয় না।
অন্যদিকে বিভিন্ন দফতর, অধিদফতর বা সংস্থার প্রায় ৮ লাখ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রেশনের পাশাপাশি বিশেষ বা ঝুঁকিভাতাও পাচ্ছেন। ফলে তাদের সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ সালে এ সুবিধা দিতে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে পরিষদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তখন এ প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সংযুক্ত পরিষদ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। তাছাড়া ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল দেওয়ার পর প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হলেও আর কোনও বেতনস্কেল জারি না হওয়ায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্বল্প আয়ের সচিবালয়ের কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন দফতর, অধিদফতর বা সংস্থার কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য নিরসনে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা দিতে খাদ্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানায় সংযুক্ত পরিষদ।