X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা, সতর্ক করলেন শ্রম অধিকার কর্মী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:০৫আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১১

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মী অ্যান্ডি হল। সিন্ডিকেট এড়াতে তিনি বিদ্যমান শ্রম চুক্তির কয়েকটি ধারা সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি একথা জানান।

অ্যান্ডি হল বলেন,  বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২১ সালের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আমূল পরিবর্তন করা দরকার এবং নেপালের সঙ্গে এখন মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারকটিও আপডেট করা দরকার। তার মতে, চুক্তির কয়েকটি ধারা অপসারণ করা দরকার, এই ধারাগুলো সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রণ দেয়, কারা কর্মী পাঠাতে পারবে তা সীমাবদ্ধ করে, অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে তোলে এবং আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করে।

তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সতর্কতার সঙ্গে সংশোধন করে সমস্যাযুক্ত ধারাগুলো দূর করতে হবে, যাতে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে কথিত সিন্ডিকেট থেকে চিরতরে মুক্তি দেওয়া যায়। দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনিয়মিত ও অনৈতিক নিয়োগ এবং এ ধরনের আচরণের জন্য অসদাচরণ, ঋণের দাসত্ব ও অন্যান্য নির্যাতনের ফলে অনেক শ্রমিকের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিশেষ করে ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডাব্লুসিএমএস)-এর চুক্তি অব্যাহত রাখার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি। সমালোচকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিন্ডিকেশন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমেই অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা এখনও অন্যান্য উৎস দেশগুলোর পাশাপাশি আপডেট হওয়া এফসিডাব্লুএমএস ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য চলমান আলোচনা এই দেশগুলোর জন্য অংশগ্রহণকারীদের তালিকাভুক্ত করতে বিলম্ব করেছে।

হল বলেন, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও নেপাল সরকারকে অবশ্যই সিন্ডিকেশনের যে কোনও সুযোগ অপসারণ করতে এবং শ্রমবাজার পুনরায় খোলার আগে আরও দায়িত্বশীল নিয়োগ অনুশীলনের সম্ভাবনা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক পুনর্বিবেচনা করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সেই সময় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো যেতো। এরপর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিল ৩ বছর। ২০২২ সালের আগস্টে দেশটিতে আবারও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়। তখন প্রথমে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১০১টি করা হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে আবারও কর্মী নেওয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া। আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আবার চুক্তি করতে হবে।

/এসও/এমকেএইচ/
সম্পর্কিত
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চেয়েছে সরকার
মালয়েশিয়া চুক্তি পরিবর্তন না করলে দুটি পথ খোলা: আসিফ নজরুল
গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্য কমেনি, বেড়েছে: জোনায়েদ সাকি
সর্বশেষ খবর
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!