বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর তিন থানার পৃথক মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আবুল হাসানের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চান। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবুল হাসান গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গ্রেফতার হন। ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আগরওয়ালাকে রাজধানীর গুলশানের আকাশ টাওয়ার থেকে আটক করা হয়। পরে বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় তাকে।
আগারওয়ালের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট শেরে বাংলা নগর থানার আন্দোলনে অংশ নেন আনিসুর রহমান আশিক। এদিন সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন গত ১৯ মার্চ শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পলকের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। এদিন সন্ধ্যায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা।
আবুল হাসানের মামলার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারবেজ মিয়া। বিকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৯ অক্টোবর মামলা করেন নিহতের মা কানীছ ফাতেমা।