তিন দফা দাবিতে বৃষ্টির মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সড়কে অবস্থান করছেন তারা। তাদের অনেকেই ভিজছেন বৃষ্টিতে, আবার অনেকেই এসেছেন ছাতা হাতে। এরমধ্যেই স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন হাজারো শিক্ষার্থী। দুপুর সোয়া ১২টা থেকে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
সেখানে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষকরাও। তারা জানান, সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া ঝড়-ঝঞ্ঝা বা কোনও রক্তচক্ষু তাদেরকে রাজপথ থেকে সরাতে পারবে না। দাবি পূরণ করেই তারা ঘরে ফিরে যাবেন।
এরই মধ্যে ব্যারিকেড দিয়ে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থামিয়ে রেখে কাকরাইল মোড় থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দক্ষিণ পাশের সড়ক ও মৎস্য ভবনগামী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ওই রুটের গাড়িগুলো চলছে সার্কিট হাউজ সড়ক দিয়ে।
অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে থাকলেও তাদের কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি।
বুধবার (১৪ মে) তারা সারারাত অবস্থান করেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে।
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
ইতোমধ্যে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এর আগে বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওয়ানা হয়। পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস্য ভবনে আবারও পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।