X
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উর্দুভাষীদের অধিকার অবজ্ঞা করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না: আনু মুহাম্মদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ মে ২০২৫, ২১:২৫আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ২১:২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেছেন, উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার অবজ্ঞা করে দেশে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না। তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতিশ্রুতি হলো শোভন জীবনযাপন নিশ্চিত করা— যা থেকে উর্দুভাষীরা বঞ্চিত।

সোমবার (১৯ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন’ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাঙালি-বিহারি বিভাজন সৃষ্টি করে লুটপাটের কৌশল তৈরি করে শাসকগোষ্ঠী যার নির্মম শিকার উর্দুভাষীরা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারও বিহারি জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছে— যার চূড়ান্ত পরিণতি আমরা দেখেছি একাত্তর সালে।

উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত সব উর্দুভাষী বাংলাদেশিদেরকে বাংলাদেশের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। নাগরিক হিসেবে তারা ভোটাধিকার অধিকার পান। সে ভোটাধিকার তারা স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োগ করেছেন।

দেশের তিন লাখ উর্দুভাষী ঢাকাসহ দেশের ৯টি জেলায় ১১৬টি ক্যাম্পে আধুনিক সব মৌলিক মানবিক সুযোগ–সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের পুনর্বাসন না করার কারণে তারা ক্যাম্পে এক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্যাম্পের পরিধি বাড়লেও এখানে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ছোট একটা রুমের ভেতর বাস করতে হচ্ছে কয়েক প্রজন্মকে।

এসময় ঘোষণাপত্রের পাশাপাশি আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো— ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে মর্যাদাপূর্ণ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে; পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্যাম্প উচ্ছেদ করা যাবে না এবং ক্যাম্পের সকল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতার ব্যবস্থা করতে হবে; নিরাপদ খাবার পানির এবং স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে; ক্যাম্পের জনাকীর্ণ-অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে; ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে; সরকারিভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করে চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ক্যাম্পে সংলগ্ন সরকারি বিদ্যালয় স্থাপনের করে ক্যাম্প উপযোগী বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংগঠনটির সভাপতি মাজিদ ইকবালের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংগঠক সুজিত চৌধুরী, ইউএসপিওয়াইআরএম-এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্‌কু, ব্লাস্টের প্রতিনিধি আহমেদ ইব্রাহিম, রিবের অ্যাডভোকেট রুহি নাজ, এএলআরডির অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী প্রমুখ। সভায় সংগঠনের সভাপতি মাজিদ ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ আক্তার সংগঠনেরর ঘোষণাপত্র ও দাবিনামা যৌথভাবে তুলে ধরেন।

/এএজে/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হায়দরাবাদের কাছে হেরে লখনউর বিদায়
হায়দরাবাদের কাছে হেরে লখনউর বিদায়
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত ও নাগরিক হয়রানি বন্ধের দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত ও নাগরিক হয়রানি বন্ধের দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির
ইইউ’র বাজারে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের রেকর্ড অগ্রগতি
ইইউ’র বাজারে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের রেকর্ড অগ্রগতি
কুড়িগ্রামে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে নেতাকর্মীদের কালো পতাকা মিছিল
কুড়িগ্রামে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে নেতাকর্মীদের কালো পতাকা মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
সিরাজগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি ৪ লাখ কোরবানির পশু
সিরাজগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি ৪ লাখ কোরবানির পশু
বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার চেষ্টা, শাহজালালে তোলপাড়
বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার চেষ্টা, শাহজালালে তোলপাড়
‘হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় আসতে দেওয়া হবে না’
‘হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় আসতে দেওয়া হবে না’
ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
টিসিবির ডিলার নিয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত
টিসিবির ডিলার নিয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত