বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন ঘাটে আসা যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে সদরঘাট নৌ টার্মিনাল ও পন্টুন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চ বন্ধের খবর না জানায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঘাটে আসছেন অনেকে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের কেউ কেউ ফিরে যাচ্ছেন, কেউ কেউ ছুটে যাচ্ছেন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে, আবার কেউ কেউ রাতে লঞ্চ ছাড়তে পারে এমন আশায় অপেক্ষা করছেন।
ছেলে বদরুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘাটে আসা ব্যবসায়ী শহীদ বলেন, ‘আমরা যাবো পটুয়াখালীর আমতলী। ডাক্তার দেখাতে আসছিলাম গত পরশু। লঞ্চ বন্ধ জানতাম না। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে লঞ্চ না ছাড়লে কোনও বোডিংয়ে থাকতে হবে।’
মিরপুর থেকে ভোলার উদ্দেশে রওনা দেওয়া মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লঞ্চ চলবে না জানতাম না। ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ নেই। বৃষ্টির মধ্যে কষ্ট করে আসা বৃথা হলো। এখন আবার মিরপুর ফিরে যাবো ভাবছি।’
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, সকালে বিভিন্ন রুট থেকে লঞ্চ এসেছে। তবে চাঁদপুর ছাড়া অন্য কোনও রুটে লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। দুপুরের পর সব রুটেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চটি রাত ৯টায় বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। লঞ্চের স্টাফ মাসুদ বলেন, ‘৪টার দিকে জানিয়েছে লঞ্চ যাবে না। এখন যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছে। যাদের কেবিন নেওয়া ছিল, টাকা ফেরত নিচ্ছে। আবার অনেকে আগামীকাল বা পরশুর কেবিন নিচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সদরঘাট নৌ টার্মিনালের যুগ্ম পরিচালক মুহম্মদ মোবারক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকাল ৩টা থেকে সদরঘাট থেকে ছোট-বড় সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বৈরি আবহাওয়ার কারণে। সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল সীমিত ছিল ঘাটে। বেশ কয়েকটি লঞ্চ বিভিন্ন রুট থেকে ঘাটে এসেছে। আর দুইটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।’