রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় এক শিক্ষার্থীসহ তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, ওয়ারীর হাবিবুল ইসলাম (২২), গেন্ডারিয়ার রীতা মিত্র (৫৬) এবং লালবাগের মনসুর আলম (৩৫)।
বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনা ঘটে।
ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউছার আহমেদ জানান, আর কে মিশন রোড বাগান বাড়ি বিন্দুর গলির একটি বাসা থেকে হাবিবুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মা হাসিনা আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাবিবুল গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।
নিহত হাবিবুলের বড় বোন আঞ্জুম জানান, হাবিবুল বাড্ডা নতুন বাজার এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
এদিকে গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কেবি রোডের একটি বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে রীতা মিত্রর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রীতা মিত্রের ছেলে নীলাদ্রি মিত্রর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তার মা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার রায় জানান, জেএন সাহা রোডের একটি বাসা থেকে মনসুর আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে তিনি নিজের কক্ষে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ সময় বাইরে না আসায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বোন মাহমুদা আফরিন দরজায় ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখেন, মনসুর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুঁলছেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারে করে।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ তিনটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।