বিএনপি নেতাদের নির্দেশে পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরি করতো ছাত্রদলের দুই কর্মী। বোমা তৈরিতে তারা ছিল কৌশলী। বর্তমানে খোলা বাজারে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেলে পাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করতো তারা। সেগুলো দিয়ে বানাতো বোমা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী র্যাব-১০ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে পুরান ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর পালপাড়া এলাকা থেকে ছাত্রদলের ওই দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা হলেন, মো. নয়ন (২২) ও আল আমিন (২৩)। তাদের কাছ থেকে ১৩টি ককটেল, ১৫টি পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, কাচের গুড়াসহ ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, তারা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বেশিরভাগ নাশকতার সঙ্গে জড়িত। গাড়িতে আগুন দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে পাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করে পেট্রোল বোমা বানাতো তারা।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য ওপর হামলাসহ পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরিকল্পনাকারীসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নয়ন ও আল আমিন স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাদের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরি করতো। তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিল।’
গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্রদলকর্মী সেলিম রেজা ও আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ধোলাইপাড়, গোলাপবাদ, ডেমরা, দনিয়া ও কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করে আসছিল ওই দুই জন। গ্রেফতার নয়নের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় নাশকতা, চুরি ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে।’