X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২১ বৈশাখ ১৪৩২

সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়া ও গণমাধ্যমের ভূমিকা সবসময় ইতিবাচক নয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৪আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৯

সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়া ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেশনে বক্তারা বর্তমানে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানকে কেবল নিউ মিডিয়াই নয়, গণমাধ্যমগুলোও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব মাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের উপস্থাপনার ঢঙ অনেক বিষয়কেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এ ধরনের একপাক্ষিক প্রবণতা ক্ষতিকর।

লিট ফেস্টের শেষ দিন শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বাংলা একাডেমির লনে ‘হুজ কালচার ইজ ইট অ্যানিওয়ে?’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কেলি ফ্যালকনারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লিওনেল শ্রিভার, লরেন্স অসবর্ন ও করন মহাজন। সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসবের অন্যতম পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ।

সেশন শুরু করেন কাজী আনিস আহমেদ। অতিথিদের দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। পরে কেলির সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত আলোচনায় উঠে আসে সমসাময়িক সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়ার প্রভাব এবং তার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি পরিবর্তিত হওয়ার সব প্রসঙ্গ। তাদের আলোচনায় বিশেষ করে উঠে আসে নতুন আন্দোলন বা কর্মসূচিগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়ে। এসব আন্দোলন বা কর্মসূচিগুলোর একটি বড় অংশই নেতিবাচক বার্তা বহন করে বলে জানান বক্তারা।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানকে কেবল নিউ মিডিয়াই নয়, গণমাধ্যমগুলোও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব মাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের উপস্থাপনার ঢঙ অনেক বিষয়কেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যম কাদের গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে লরেন্স বলেন, পশ্চিমা পত্রিকাগুলো স্বভাবতই মধ্যপ্রাচ্যের বা মুসলিম সাহিত্যিকদের গুরুত্ব দিতে চায় না। এই ধরনের একপাক্ষিক যেকোনও প্রবণতাই ক্ষতিকর।

বক্তারা আরও বলেন, এ ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি লেখকদের ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক লেখকই স্বাধীনভাবে লেখার সাহস দেখান না বা বিভিন্ন কারণে দেখাতে পারেন না। তবে লেখকদের জন্য এই নেতিবাচক ঘটনাগুলোর ইতিবাচকও দিকও আছে। সাহিত্য সৃষ্টির জন্য যে অনুপ্রেরণার প্রয়োজন, তার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে এই নেতিবাচক ঘটনাপ্রবাহ। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সাহিত্যের বিনিয়োগ কোথা থেকে হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।

পাশাপাশি আরেকটি স্বস্তিদায়ক ব্যাপারের কথা বলেন করন মহাজন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে কোনও ধরনের উগ্রপন্থী আন্দোলন বা কর্মসূচিই বেশিদিন স্থায়ী হয় না।’ শ্রিভার অবশ্য বিষয়টি আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকেও ব্যাখ্যা করেন। বলেন, ‘সব প্রজন্মের মধ্যেই আগের প্রজন্মের প্রতিষ্ঠিত ধারা ও প্রথা ভেঙে ফেলার প্রবণতা থাকে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই সমস্যাগুলো অনেকখানি প্রশমিত হয়ে যাওয়ার কথা।’

/টিআর/
সম্পর্কিত
রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ঢাকা লিট ফেস্টের
পর্দা নামলো ঢাকা লিট ফেস্টের
ডিএসসি দক্ষিণ এশীয় সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কার আনুক আরুদপ্রাগাসাম
সর্বশেষ খবর
ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সোমবার দুপুরের মধ্যে ১০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা আবেদনের নির্দেশ
এজেন্সিগুলোকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিসোমবার দুপুরের মধ্যে ১০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা আবেদনের নির্দেশ
৩০ দিনের মধ্যে ‘অনলাইন জুয়া’ বন্ধের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
৩০ দিনের মধ্যে ‘অনলাইন জুয়া’ বন্ধের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
মাদকসহ হত্যা মামলার আসামি যুবদল নেতা গ্রেফতার
মাদকসহ হত্যা মামলার আসামি যুবদল নেতা গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, আমি কেন পারবো না: সামিত সোম 
হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, আমি কেন পারবো না: সামিত সোম