পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ-বান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য সব ধরনের উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। পরিবেশের মানোন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।’
পরিবেশ সচিব বলেন, ‘ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে। বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সফল করতে বেসরকারি নির্মাণেও ব্লকের ইটের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।’
কর্মশালায় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন– এডিবির (বাংলাদেশ অফিস) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। দুটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান এবং ব্লক ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।