X
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
৩ আষাঢ় ১৪৩১

৫৭ ধারার মামলায় পরামর্শ নেওয়ার মূল কথা ‘সতর্কতা’

জামাল উদ্দিন
০৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩৪আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৫০

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা রজু করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে পরামর্শ নেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তার মূল কথা হচ্ছে ‘সতর্কতা’। যেন কোনও নাগরিক হয়রানির শিকার না হন, সেজন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা। এ ধারায় মামলা রজুর আগে পুলিশ সদর দফতরের আইন শাখার পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (২ আগস্ট) আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো ওই চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩’ এর ৫৭ ধারায় সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রুজুর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অভিযোগ সম্পর্কে কোনও প্রকার সন্দেহের উদ্রেক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি এন্ট্রি করে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করতে হবে। মামলা রুজুর আগে পুলিশ সদর দফতরের আইন শাখা থেকে আইনগত পরামর্শ নিতে হবে। কোনও নিরীহ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

সংসদে পাস হওয়া একটি আইন সম্পর্কে পুলিশ সদর থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আইনের বিষয় নয়। পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি চিঠি দিয়েছে যে, কেউ যদি এফআইআর  করেন, তাহলে মামলাটি রেকর্ড করার আগে পুলিশ সদর দফতরের আইন শাখা থেকে পরামর্শ নিতে হবে। আইনে আছে— পুলিশ প্রাথমিক একটা তদন্ত করে এফআইআর  নেবে। ৫৭ ধারায় হোক আর যেই ধারাতেই হোক, কেউ যদি থানায় মামলা করতে যান, তাহলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক একটা অনুসন্ধান করে এফআইআর নেবে। এছাড়া নির্দেশনাগুলো খারাপ নয়, ভালো। তবে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।’

অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের একটা সুযোগ আছে। দেখা যাবে, কারও ক্ষেত্রে মামলা নেওয়ার সুপারিশ থাকবে, আবার কারও ক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে। থানার অফিসার ইনচার্জ স্বাধীনভাবে যে একটা মামলা নেবেন বা প্রত্যাখ্যান করবেন এটার বোধহয় সুযোগ থাকবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি এভাবে হস্তক্ষেপ করে তাহলে এখানে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সরাসরি আইনে এটার কোনও অনুমতি নেই। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেই সব দায়িত্ব দেওয়া আছে। উনি মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে বা কোনও জবাবদিহিতা দেখাতে হবে বা জানাতে হবে, এমন কোনও বিধান সিআরপিসিতে নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সহেলী ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলা নিতে পারবেন না, তা নয়। অবশ্যই মামলা নেবন। তবে মামলাটি আসলেই ৫৭ ধারায় পড়ছে কিনা, তা দেখতে হবে। দেখা গেলো অভিযোগটি ৫৭ ধারায় পড়ে না। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করার জন্য শুধুমাত্র পুলিশ সদর দফতরের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য যাচাই করে মামলাটি নেবেন। যেন সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার না হন। মুলত সতর্কতার জন্যই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
৫৭ ধারায় মামলা করতে পুলিশ সদর দফতরের অনুমোদন লাগবে

/এসএমএ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ভারতীয় সন্দেহভাজনকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ভারতীয় সন্দেহভাজনকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ
কাঁচা চামড়ার দাম এবার কত বাড়লো
কাঁচা চামড়ার দাম এবার কত বাড়লো
যত্রতত্র কাঁচা চামড়া কেনাবেচা, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
যত্রতত্র কাঁচা চামড়া কেনাবেচা, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্যমুক্ত চট্টগ্রাম
নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্যমুক্ত চট্টগ্রাম
সর্বাধিক পঠিত
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
ঈদের ৫ ছবি: ১২৯ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’, ৩৫টিতে বাকি ৪!
ঈদের ৫ ছবি: ১২৯ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’, ৩৫টিতে বাকি ৪!
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, ম্যাচ কবে?
সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, ম্যাচ কবে?