X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

যে কারণে তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৪আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:২৮

কাকরাইল মসজিদ (ছবি: সংগৃহীত) রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় চার বছর ধরে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এই সংঘর্ষ রূপ নিয়েছে ভাঙচুরে।  

তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়। এক পক্ষ আগামী ইজতেমায় তাকে বাংলাদেশে আনার পক্ষে, অন্য পক্ষ আসতে দিতে নারাজ।

এছাড়া জানা যায়, গত সপ্তাহে পাকিস্তানে তাবলিগ-জামাতের এক আয়োজনে বাংলাদেশের তাবলিগ-জামাতের মজলিশে শূরা সদস্য ও ফায়সাল (আমির) সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জুবায়ের সেখানে যান। দেশে ফেরার পর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে বললেও জুবায়ের কিছু জানাননি। এ নিয়েও ঝামেলা হয় দুই পক্ষের মধ্যে।

মূলত এ কারণে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘মতবিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণেই সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে বসেছি। এখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।’

তাবলিগ-জামাতের সাথী মো. শরফুল ইসলাম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিন-চার বছর ধরেই এই দলাদলি চলছে। বাংলাদেশ তাবলিগ-জামাত পরিচালনা কমিটির সুরা সদস্য ১১ জন। এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং রয়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন।’

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কাকরাইল মসজিদে মাসোয়ারা (বৈঠক) ছিল সুরা সদস্যদের। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তাবলিগ-জামাতের সাথী মো. শরফুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘এর আগে মাসোয়ারায় ঝামেলা হওয়ায় কোনও বৈঠক হতো না। অনেকদিন পর মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হয়। এ সময় ওয়াসিফুল ও জুবায়ের গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে থাকেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি হয়। এ সময় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জুবায়ের গ্রুপের পক্ষ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ওয়াসিফুল গ্রুপকে ধাওয়া করে। তখন পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাসোয়ারা কক্ষসহ মসজিদের ভেতরের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।’

সংঘর্ষের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াসিফুল ও জুবায়েরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন।

এদিকে দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে তৈরি হওয়া সংকট নিরসনে উলামা মাশায়েখ পরামর্শ সভা হয়েছে একাধিকবার। গত ১৪ নভেম্বর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের আয়েশা মসজিদে এ ইস্যুতে এক বৈঠক হয়। সেখানে হেফাজতপন্থী আলেমরা হুঁশিয়ারিতে জানান, মাওলানা সা’দকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। 

/এআরআর/এফএস/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে সাংবিধানিক কমিটি হবে
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে সাংবিধানিক কমিটি হবে
দিনের ভোট রাতে হওয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
দিনের ভোট রাতে হওয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার
বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার
আবারও কমলো এলপিজির দাম
আবারও কমলো এলপিজির দাম
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি