অবৈধ গর্ভপাত ঘটনার চেষ্টাসহ মারধরের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলার আহমেদ সেলিমসহ দু’জনের বিরুদ্ধে তার ছেলে সাফাত আহমেদের বউ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর বিচারক তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন। মামলাতে অপর এক আসামি হলেন, আপন রিয়েল স্টেটের উপদেষ্টা মোখলেছুর রহমান।
আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ১৯ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২০১৫ সালের দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরের গুলশান-২ এর বাসায় থাকতেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আসামি দিলদার শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তাকে এবং তার স্বামীকে (সাফাত) তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
আদালতে বাদী তার জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার শ্বশুরসহ অপর আসামিরা আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়। গত ৫ মার্চ আমার শ্বশুর ও অপর আসামি পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে বাসা থেকে বের দেয় এবং আমার গাড়িটিও নিয়ে যায়। পরে পুলিশ আমার গাড়ি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আমি গুলশান থানায় একটি জিডি করি। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৩১ নভেম্বর আমার স্বামী অন্য এক মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আমার স্বামীর (সাফাত) জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠায়। এরপর আসামিরা বিভিন্নভাবে গর্ভে থাকা তার সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। গত ৫ মার্চ স্বামীর জন্য কিছু কেনাকাটা করার জন্য বাসা থেকে বের হই। কেনাকাটা শেষে বাসায় ঢুকলে আসামিরা আমাকে গালিগালাজসহ মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। সঙ্গে থাকা দুই লাখ টাকা, পাঁচ ভরি ওজনের সোনার নেকলেস, দুটি চুড়িসহ আনুমানিক ৮ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসি জোড় করে নিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় বাদীর স্বামী সাফায়াত আহমেদ প্রধান আসামি। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।