X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ দফা দাবিতে আজও সড়কে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২৬আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০০

পাঁচ দফা দাবিতে আজও সড়কে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট সংলগ্ন নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পাঁচ দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মিরপুর সড়কের নীলক্ষেত ক্রসিং অবরোধ করেন ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়া সরকারি সাত কলেজে সেশনজট নিরসন, ত্রুটিপূর্ণ ফল সংশোধন এবং ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতা দূর করাসহ নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা সাত কলেজের নানা সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘গণহারে আর ফেল নয়, যথাযথ রেজাল্ট চাই’, ‘শিক্ষা কোনও পণ্য নয়, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা নয়’, ‘গণহারে ফেল, ঢাবি তোমার খেল’, ‘বন্ধ কর অনাচার, সাত কলেজের আবদার’, ‘নিচ্ছ টাকা দিচ্ছ বাঁশ, সময় শেষে সর্বনাশ’- এসব স্লোগান দেওয়া হয় বিক্ষোভে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাংলা কলেজ। ‘ঢাবি’র অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই সাত কলেজে নেমে আসে কালো অধ্যায়। দীর্ঘ ৯ মাস সাত কলেজের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর মানববন্ধন, অনশন কর্মসূচি, অবরোধ, সর্বশেষ সিদ্দিকের চোখের বিনিময়ে ঢাবি আমাদের কার্যক্রম ধীরগতিতে শুরু করে।’
তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘অধিভুক্ত হওয়ার প্রায় ২ বছর ২ মাস পরও সাত কলেজ কোনও আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না। হাজারো সমস্যায় পড়ে রয়েছে এই কলেজগুলো। ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সাত কলেজের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে।’

পাঁচ দফা দাবিতে আজও সড়কে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

বর্তমানে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সংকটের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেছেন, ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সেশনগুলোর কোন বর্ষের পরীক্ষা কখন হবে শিক্ষার্থীরা তা জানে না। প্রত্যেক বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয় পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে। একটি বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয় প্রায় ২/৩ মাস ধরে। যেসব বর্ষের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা আছে তা পরীক্ষার পরপরই নেওয়া হয় না। ফল প্রকাশে নেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ সময়। তা কখনও ৮/৯ মাস আবার কখনো এক বছর। ফল প্রকাশের পর তা হয় ভুলে ভরা, কখনও সিজিপিএ থাকে না, কখনও ফলের জায়গায় NW আসে। প্রমোটেড, নন প্রমোটেড নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ে যায় বিশেষ ধন্দে। আর ফলাফল হয় প্রায় ৯৫ শতাংশ অকৃতকার্য। এসব সমস্যা সমাধানের দাবিতে আন্দোলন করছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। 

/আরজে/এআর/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
সর্বাধিক পঠিত
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!