X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: শিক্ষা-গবেষণায় গুণগত মান নিশ্চিতের অঙ্গীকার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ জুলাই ২০২০, ১৮:০৫আপডেট : ০১ জুলাই ২০২০, ১৮:০৬

 

জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় শিক্ষা ও গবেষণায় গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বুধবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম।’ এ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১০টায়।

উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমিত কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়১ সকাল ১১টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎবরণকারী, বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং করোনা মহামারিতে চিকিৎসক, নার্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলামসহ তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা যুক্ত হন।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এসব আন্দোলনে বিভিন্ন সময় অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন এবং আত্মত্যাগ করেন।’

দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নয়, বরং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ’

ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার উদ্বোধনী ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এমন এক সময় উদযাপন হচ্ছে যখন ‘মুজিববর্ষ’ চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। কিন্তু ‘কোভিড-১৯’ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এই মাহেন্দ্রক্ষণকে আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে পারছি না। এই অবস্থা কেটে যাবে এবং অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বর্ণাঢ্যভাবে উৎসব উদযাপন করবো।’

উপাচার্য আরও বলেন, গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করাই হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসবের অঙ্গীকার।’

অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

/এসএমএ/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ