বিনা নোটিশে করোনাকালীন সময়ে রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক চাকরিচ্যুত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষকরা। এ ঘটনায় তারা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই বিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক আজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ নয় বছর যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক ২০১৭ সালের যোগদানের পর আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অসম্মান করেছেন। মহামারি করোনাকালে বিনা নোটিশে আমাদের ১০ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন এই করোনার সময়ে কোনও শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটি কোনও ক্ষমতা রাখেন না চাকরিচ্যুত বা বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার। অথচ তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের দুর্নীতিপরায়ণ প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের ১০ জন মেধাবী শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন। তিনি এমন মন্তব্য করেছেন যে, আমার কোনও শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। সভাপতি আমার সঙ্গে আছে।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ের মূল ভবনের পঞ্চম তলায় ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাসস্থান তৈরি করেছেন। বাংলাদেশে কোনও বিদ্যালয়ের মূল ভবনে এরকম বাসস্থান করার আইন নেই। এই বাসার সব খরচ তিনি বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে দিয়ে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বপদে বহাল হতে চাই এবং প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তি দাবি করছি।’
চাকরিচ্যুত ১০ সহকারী শিক্ষক হচ্ছেন— রহিমা খাতুন, আজাদ হোসেন, রাবেয়া সুলতানা, মোবাশ্বিরা বিনতে নাহার, রাখি লতা রায়, ওয়াহিদা সুলতানা, ফরিদা আক্তার, পাপিয়া, রিপন চন্দ্র দাস এবং আরিফা খান।
এ বিষয়েবাংলা ট্রিবিউনকে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।