গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র্যাব। রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই তিনটি মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিনা রাণী দাশ বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মোট তিন মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাড্ডা থানা পুলিশ সূত্র বলছে, দুপুর ১২টার পর তাকে আদালতে নিয়ে প্রত্যেক মামলার জন্য সাত দিন করে মোট ২১ দিন রিমান্ড আবেদন করা হবে।
চোরাচালানের দায়ে ২০০৭ সাল বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
ভূমির জালিয়াতি সম্পর্কে র্যাব জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। অভিযোগ আছে তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী। ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা রাজউক ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটাও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজউকের সিল নকল করে গোল্ডেন মনিরের কব্জায় ২০০ প্লট !
গোল্ডেন মনিরের বাসায় মিললো ৬০০ ভরি স্বর্ণ, কোটি টাকা, পিস্তল
অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ গোল্ডেন মনির গ্রেফতার