X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিয়ের সিদ্ধান্তে ৪০ শতাংশ কনের ভূমিকা নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ মার্চ ২০১৬, ২০:০১আপডেট : ০৮ মার্চ ২০১৬, ০৯:৩০

বিয়ের সিদ্ধান্তে ৪০ শতাংশ কনের ভূমিকা নেই বিয়ের ক্ষেত্রে কনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে উঠে এসেছে বাংলা ট্রিবিউন পরিচালিত জরিপে। বিয়ের সিদ্ধান্তটিও নিজে-নিজে নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ৪০.৪২ শতাংশ নারী। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ৩৫.১৯ শতাংশ।

‘আপনি কি নিজ সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ৪০.৪২ শতাংশ নারী ‘না’ বলেছেন। নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন ২৯.৬৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই প্রশ্নে মত দেননি ২৯.৯৬ শতাংশ নারী।

লক্ষণীয়, শহর ও গ্রামে একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২৪০০ জন শহরের নারীর মধ্যে ৩৮.৩৮ শতাংশ জানিয়েছেন- তারা নিজ সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে পারেননি, পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ৩০.৭৫ শতাংশ। একই সংখ্যক গ্রামের নারীর মধ্যে নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ৪২.৪৬ শতাংশ, অন্যদিকে পেরেছেন ২৮.৫০ শতাংশ।

বিয়ের সিদ্ধান্তে ৪০ শতাংশ কনের ভূমিকা নেই

এদিকে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সারাদেশের ৩৫.১৯ শতাংশ নারী। ২৯.৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন তারা নিজেদের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পেরেছেন। এই প্রশ্নে মতামত দেননি ৩৫.১৩ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে ধরা হলেও এই ক্ষমতায়ন নিয়ে সন্তুষ্ট নন দেশের নারীরা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৮.০২ শতাংশ নারীর মতে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারী হওয়ায় যে পরিমাণ নারীর ক্ষমতায়ন হওয়া উচিত ছিল তেমনটি হয়নি।

উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি-২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি জরিপ পরিচালনা করে বাংলা ট্রিবিউন। সারাদেশের মোট ৪ হাজার ৮০০ জন নারীর ওপর এই জরিপে প্রতিটি বিভাগ থেকে ৬০০ জন (৩০০ জন শহুরে ও ৩০০ জন গ্রামে বসবাসকারী) করে নারীর মতামত নেওয়া হয়।

 

জরিপ পরিচালনা:  বাংলা ট্রিবিউন

জরিপ পরিচালনার সময়কাল: ২২ ফেব্রুয়ারি- ২৯ ফেব্রুয়ারি         

নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
১. প্রতিটি বিভাগে ৩০০ জন শহুরে এবং ৩০০ জন গ্রামীণ নারীকে ২০টি করে প্রশ্ন করা হয়। (এভাবে আটটি বিভাগে মোট ৪ হাজার ৮০০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়)।

২. শহুরে বলতে বোঝানো হয়েছে- বিভাগীয় শহর বসবাসকারী নারী এবং গ্রামীণ বলতে বোঝানো হয়েছে- জেলা, উপজেলা, থানার গ্রাম পর্যায়ের বসবাসকারী নারী।

৩. শুধু নারীদের ওপরই এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।  
৪. পেশাভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী ১০০ জন, কর্মজীবী নারী ১০০ জন এবং গৃহিণী ১০০ জন।
৫. দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতি অংশগ্রহণকারীর উত্তর নেওয়ার পর ৫ মিনিট অন্তর অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।

৬. জরিপকারীরা একই স্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।  
৭. নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা/বিভাগের হাটবাজার/শপিংমলকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৮. দেশের আটটি বিভাগে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?