X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

শবে কদরে যে ২টি বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন

নুরুদ্দীন তাসলিম
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪

হাজার মাসের ইবাদতের থেকে উত্তম শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি)।

এ রাতটি রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে খুঁজতে বলা হয়েছে হাদিসে। আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৯)

ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা

কদরের রাতটিকে হাদিসে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ রাতটি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. সাহাবিদের জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দুই ব্যক্তির ঝগড়ার কারণে তা গোপন রাখা হয়। এ বিষয়ে হজরত উবাদা ইবনে সামিত রা. থেকে বর্ণিত যে—

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে জানাতে বের হলেন। এ সময় দু্ই জন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম সা. বললেন, আমি আপনাদের ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)

এ জন্য কদরের রাতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু কদরের রাতটি নির্দিষ্ট নয়, তাই রমজানের শেষ দশকের পুরোটা সময় বিশেষ করে বিজোড় রাতগুলোতে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। বলা যায় না, কোনও একটি রাত হয়তো কদরের হলো কিন্তু কেউ বিবাদে লিপ্ত থাকার কারণে তা থেকে বঞ্চিত হলেন।

এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায়

কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য মোটামুটি সবাই রাতভর নফল নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে যে ভুলটি করেন তা হলো জামাতে নামাজের গুরুত্ব দেন না। অথচ নফল ইবাদতের থেকেও ফরজের গুরুত্ব বেশি।

এ জন্য সম্ভাব্য শবে কদরে অন্তত এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। যেন কোনোভাবেই জামাতের নামাজ ছুটে না যায় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শবে কদরের ফজিলত লাভ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬)।

/আরআইজে/
সম্পর্কিত
পবিত্র শবে কদর, ইবাদতের রাত আজ
শবে কদর যে কারণে শ্রেষ্ঠ, এই রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়?
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে
সর্বশেষ খবর
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী