X
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
২২ বৈশাখ ১৪৩২

মন্ত্রিসভায় কমেছে নারী, বাড়েনি সংখ্যালঘু সদস্য

উদিসা ইসলাম
০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৫আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৭





মন্ত্রিসভায় কমেছে নারী, বাড়েনি সংখ্যালঘু সদস্য এবারের মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমেছে। আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আগের মন্ত্রিসভার মতো এবারও দুজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। আর আগের মতোই মন্ত্রী করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের একজনকে।


নারীনেত্রীরা বলছেন, নারীর উপস্থিতি মন্ত্রিসভায় এমনিতেই কম ছিল, আরও কমে যাওয়াটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। কেন এমন হচ্ছে তার কোনও ব্যাখ্যাও নিজেদের কাছে নেই উল্লেখ করে নারীনেত্রীরা বলেন, এমন চললে জেণ্ডার ইকুইটির (লিঙ্গ সমতা) দিকে আমাদের এগিয়ে যাওয়া ব্যাহত হবে।
এবারের মন্ত্রিসভায় নারীদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ডা. দীপু মনি, মন্নুজান সুফিয়ান ও বেগম হাবিবুন নাহার। এর আগের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নারী ছিলেন চারজন। তারা হলেন মতিয়া চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, মেহের আফরোজ ও তারানা হালিম। এবারে একজন কমেছেন।
দীপু মনিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মন্নুজান সুফিয়ান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, বেগম হাবিবুন্নার পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়েছে।
নারীনেত্রী ফৌজিয়া খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের কথা আমাদের মতো ভাববার জন্য আরও নারী প্রতিনিধি প্রয়োজন। প্রায় ৫০ জনের মধ্যে তিনজন নারী কী প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? প্রধানমন্ত্রী চাইছেন নারীদের জন্য অনেক কিছু করতে, কিন্তু সংখ্যা বাড়ছে না।’
সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যা বাড়লে প্রতিনিয়ত যে নির্যাতন যে শেকল আমাদের গ্রাস করে তা ভেঙে আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথ আরও ধারালো হবে। মনে রাখতে হবে, সংখ্যাটাও ব্যাপার। নম্বার ইজ পাওয়ার। সংখ্যা বেশি থাকলে নারীর স্বর বেশি শোনা যাবে।’
কেন নারীর সংখ্যা না বাড়িয়ে কমানো হলো, তার ব্যাখ্যা জানা নেই উল্লেখ করে নারীনেত্রী খুশী কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তো ৫০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই। সেখানে ওয়ান-থার্ডও যদি না পাই তাহলে ২০২০ সালের মধ্যে জেন্ডার ইকুইটি কীভাবে অর্জন করবো?’
তিনি বলেন, ‘দক্ষ নারী নেতৃত্ব যে তাদের নেই— এমনটা তো না। তাহলে কেন এটির দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে না?’
এদিকে এবারের মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সাধন চন্দ্র মজুমদার ও স্বপন ভট্টাচার্য জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও বীরেন সিকদার। অর্থাৎ সংখ্যা সেই দুই-ই থাকলো। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং বহাল থাকলেন।
এখানেও প্রতিনিধিত্ব কীভাবে বাড়ানো যায় প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সংখ্যালঘু ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক মেজবাহ কামাল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। সেটা সে তুলনায় বাড়েনি। প্রত্যাশা ছিল প্রতিনিধিত্ব বাড়বে, সেটি হলো না। মুখ বদল হলো কিন্তু সংখ্যার বিবেচনায় একই থাকলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গড়বেন জানিয়েছিলেন সেটিও হলো না। বহুদিন পর বীর বাহাদুরকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটিকে আমি স্বাগত জানাই।’

/এইচআই/
সম্পর্কিত
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
এবার আড়াই হাজার ভোট পাওয়া আরিফুরকে মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
নওগাঁ আ.লীগের কার্যালয় থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
এপ্রিল মাসে সামান্য কমেছে মূল্যস্ফীতি
এপ্রিল মাসে সামান্য কমেছে মূল্যস্ফীতি
কিছুক্ষণের মধ্যে রওনা হ‌বেন খা‌লেদা জিয়া, সবশেষ যা জানা গেলো
কিছুক্ষণের মধ্যে রওনা হ‌বেন খা‌লেদা জিয়া, সবশেষ যা জানা গেলো
নারীর প্রতি ‘অশালীন মন্তব্য’: হেফাজত ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ
নারীর প্রতি ‘অশালীন মন্তব্য’: হেফাজত ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সর্বাধিক পঠিত
এবার আড়াই হাজার ভোট পাওয়া আরিফুরকে মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
এবার আড়াই হাজার ভোট পাওয়া আরিফুরকে মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
ইসলামি ব্যাংকগুলো একীভূত করার প্রস্তাব: সমাধান নাকি নতুন সংকট?
ইসলামি ব্যাংকগুলো একীভূত করার প্রস্তাব: সমাধান নাকি নতুন সংকট?
ঝকঝকে ত্বক পেতে যেভাবে ব্যবহার করবেন চিয়া সিড
ঝকঝকে ত্বক পেতে যেভাবে ব্যবহার করবেন চিয়া সিড
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের জানাজা পড়ালেন ছেলে, প্রিয় আইনাঙ্গন থেকে শেষ বিদায়
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের জানাজা পড়ালেন ছেলে, প্রিয় আইনাঙ্গন থেকে শেষ বিদায়
বিদেশে পড়াশোনা ও চিকিৎসা খরচ পাঠানো সহজ হলো
বিদেশে পড়াশোনা ও চিকিৎসা খরচ পাঠানো সহজ হলো