X
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তারেক রহমানের মতো দুর্নীতিবাজকে কেউ নেতা মানবে না: হানিফ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৭আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৫

একাদশ সংসদ নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা তারেক রহমানকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন উল্লেখ করে তাকে কেউ নেতা হিসেবে মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের জনগণ তারেক রহমানের মতো সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ এবং চরিত্রহীন কোনও ব্যক্তিকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানবে না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সারা জীবনের জন্য বিএনপি থেকে বিদায় করেন, তাহলে যদি বিএনপি তার কলঙ্ক থেকে একটু বেরিয়ে আসতে পারে। জনগণের আস্থা সৃষ্টি করতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন-এর আয়োজনে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ আরও বলেন, ‘২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এই সময় বিএনপির অর্জন বলতে ছিল সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। এই সময় বেগম খালেদার দুই পুত্র দুর্নীতির মহোৎসব করেছিল। তাদের দুর্নীতির মাত্রা এতই ছিল, যার জন্য বাংলাদেশকে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বের এক নম্বর হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হয়েছিল।’

নির্বাচন নিয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন কি করেছিল, সেগুলো যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে বিএনপির এই পরাজয় ছিল প্রত্যাশিত।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে জনবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে করতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পর ফরম বিক্রির প্রথম দিনেই বিনা উসকানিতে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিলেন। এতে আপনারা জাতির কাছে আবারও তুলে ধরলেন যে সন্ত্রাসী মনোভাব থেকে আপনারা এখনও বেরিয়ে আসতে পারেন নাই। আবার মনোনয়ন নিয়ে শুরু করলেন নাটক। মনোনয়ন বাণিজ্য হলো। যেসব নেতাকর্মী মাঠে কাজ করে তাদের বাদ দিয়ে যারা লন্ডনে টাকা দিয়েছে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হলো। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিএনপির দুটি অফিসে হামলা হয়েছে। বিএনপির শীর্ষনেতারা পর্যন্ত লাঞ্ছিত হয়েছেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে মাঠকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, আর এই ক্ষোভের কারণে তারা নির্বাচনের মাঠে নামেনি, ঘরে বসে ছিল।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে চরম পরাজয়ের পরে, তারা কখন যে কি বলছে তার কোনও ঠিক নেই। মির্জা ফখরুলদের এখন আসলে মাথা ঠিক নেই।’

আলোচনা সভায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সব সেক্টরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল। জনগণ তার ওপর শতভাগ আশা রাখে, বিশ্বাস রাখে। শেখ হাসিনা ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। শেখ হাসিনার আমলে বর্তমানে গ্রামে এখন কেউ না খেয়ে নেই, কোনও রাহাজানি নেই, কোনও মারামারি নেই। সবকিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দরদে।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।

/এইচএন/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
অবশেষে বিএনপিকে সময় দিলেন ড. ইউনূস, ডাকলেন জামায়াতকেও
আ.লীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে থানায় দিলো ছাত্রদল-যুবদল
বিএনপি উৎপাদন ও উন্নয়নে বিশ্বাসী: নজরুল ইসলাম খান
সর্বশেষ খবর
পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন যুবকের নামে মামলা
পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন যুবকের নামে মামলা
শিগগিরই জুলাই ঘোষণাপত্র, গণহত্যার বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি নাহিদের
শিগগিরই জুলাই ঘোষণাপত্র, গণহত্যার বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি নাহিদের
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য সাকিবের
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য সাকিবের
সর্বাধিক পঠিত
খালেদা-তারেককে ‘হয়রানি’: দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা
খালেদা-তারেককে ‘হয়রানি’: দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা
শিগগির জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার পদত্যাগ
শিগগির জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার পদত্যাগ
আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নির্যাতনের শিকার সেই আ.লীগ নেতার মৃত্যু
আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নির্যাতনের শিকার সেই আ.লীগ নেতার মৃত্যু
শুধু নির্বাচন করার জন্যই আমরা দায়িত্ব নেইনি: পরিবেশ উপদেষ্টা
শুধু নির্বাচন করার জন্যই আমরা দায়িত্ব নেইনি: পরিবেশ উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা দেশের অভিভাবক, সেনাপ্রধান স্তম্ভ: হেফাজত
প্রধান উপদেষ্টা দেশের অভিভাবক, সেনাপ্রধান স্তম্ভ: হেফাজত