X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

আধুনিকায়নের নামে এটা পাট খাত ধ্বংস করার শামিল: মেনন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ জুলাই ২০২০, ২০:১৫আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২০, ২০:৫৪

 

রাশেদ খান মেনন

আধুনিকায়নের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করা পাট খাতকে ধ্বংস করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ পিপিপি’র নামে লুটপাটকারীদের হাতে ছেড়ে না দিয়ে, পাটকলের পুরনো মেশিনের বদলে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাংশ স্থাপন করে, এই শিল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আহ্বান জানাচ্ছি।.

সোমবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মেনন বলেন, ‘শ্রমিকদের বিদায়ের জন্য কথিত ৫ হাজার কোটি টাকার গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের  পরিবর্তে ১২ শ’ কোটি টাকায় পাটকলে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করে পাটশিল্প, পাটকল ও শ্রমিক রক্ষার জন্য সরকারের বলবো।’

দলের নেতা কামরুল আহসানের নামে পাঠানো  সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়— পার্টির পলিটব্যুরোর সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পাটকল বন্ধ করে নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবস্থাপনায় চালু রেখেই পাটকলে আধুনিক ও উন্নত টেকসই প্রযুক্তি স্থাপন করতে হবে। এ খাতের সঙ্গে যুক্ত ৫০ লাখ কৃষক, পাট ও পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত চার কোটি মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষা করতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে পাটের পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে পাটকমিশন গঠন করেছিলেন, যার উৎসাহে পাটের জিনোম আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন এমন কী ঘটলো, যার কারণে পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার এবং পাট অর্থনীতিকে বাতিলের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে হলো?’

তিনি আরও  বলেন, ‘‘পাট লুটপাটের দুর্নীতিকে আড়াল করে লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাটকলকে চিহ্নিত করে, এর দায় শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে সরকার এর সমাপ্তি টানতে চাইছে। এটা ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর কৌশল’, যা আগের বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতি কৌশলের অনুসরণ এবং সাম্রাজ্যবাদের প্রণীত উদারীকরণ নীতির বাস্তবায়ন মাত্র। পাট শিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করার দায় বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন। তাদের অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাট শিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে।’

মেনন বলেন, ‘সরকারের হিসাবে গত ৪৪ বছরে পাট শিল্পে লোকশানের পরিমাণ ১০ হাজার ৫ শ’ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রতিবছর লোকসান হয়েছে ২৩৮.৬৩ কোটি টাকা মাত্র। অথচ বিমান, রেল ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে প্রতিবছর যে পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হয়, তার জবাব কে দেবে। এই কারণে কি সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে? বিদ্যুতের কুইক রেন্টালকে অলস বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা দেওয়া হচ্ছে কার স্বার্থে। এ সব ক্ষেত্রে অর্থের যে পরিমাণ অপচয় হচ্ছে, সেই অর্থে পাটশিল্পে ৫০ বছরে লোকসানের পরিমাণ অনেক কম।’

ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক প্রমুখ।

 

/এএইচআর/এসটিএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল