জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। কারণ তারা খুনি ও গণহত্যাকারী দল।’
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে এনসিপির নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থীও অংশগ্রহণ করেছেন।
হাসনাত বলেন, ‘আমরা যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা মানুষের পালস বুঝতে পারেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না।’
তিনি বলেন, ‘খুনিদের পুনর্বাসনের কোনও সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। জনগণের প্রাণের দাবিকে উপেক্ষা করলে পরিস্থিতি কঠিন হবে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যমুনার সামনের দুই পাশে সড়কেই ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিক্ষোভ করছেন নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছেন। তারা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘শাপলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’।
বারিধারা মাদ্রাসা থেকে মিছিলের সঙ্গে এসেছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকদের মেরেছে আওয়ামী লীগ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও আমাদের ভাই-বোনদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাই আমরা তাদের অস্তিত্ব দেখতে চাই না।’
সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকশত সদস্য।
এনসিপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘গোলামি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’; ‘লীগ ধর বিচার কর’; ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঘোষণা দেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।