আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে হবে। যেকোনও কিছুর বিনিময়ে হলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকালে আমিন বাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এর মাধ্যমে বোঝা যায়— বাংলার মানুষ উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায়। বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সারা দেশে রক্তপাত ঘটিয়েছে। ওরা ক্ষমতায় থাকাকালীন মায়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত-পা কেটে চোখ উপড়ে ফেলে দিয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। সেই বিএনপি-জামায়াত আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না। দেশের শান্তি সমৃদ্ধিকে মেনে নিতে পারে না।’
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের মূল কারিগর আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেই খুনি জিয়াউর রহমানই মেজর ডালিম, রশিদ, শাহরিয়াসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশি দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ওই খুনিদের দিয়ে নির্বাচন করিয়ে মহান সংসদকে অবমাননা করেছেন। খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক রহমান একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ রেহানা সরকারের কাছ থেকে ধানমন্ডিতে ছোট একটি বাড়ি পেয়েছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া সেই বাড়িটি কেড়ে নিয়ে থানা স্থাপন করলেন। তারপরেও খালেদা জিয়ার ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পরে মহান নেত্রী ছুটে গিয়েছিলেন খালেদাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গেট আটকে দিয়েছেন।’