X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

বিদেশে ঘুরে লাভ হবে না: মির্জা ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০৬আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৪০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘উনারা (সরকার) খুব আনন্দে আছেন। আমেরিকায় ১৮ দিন ঘুরে আসলেন, এখন ব্রাসেলস যাবেন। চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে। এই ঘুরে ঘুরে যদি কোনও রকমে সামাল দেওয়া যায়… এই চেষ্টা করছেন।”

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে ছাত্র কনভেনশনে বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বিভিন্ন দেশে ভ্রমণকে ইঙ্গিত করে এই প্রতিক্রিয়া জানান। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যে’র উদ্যোগে এই ছাত্র কনভেনশন হয়। কনভেনশনে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ১৫টি ছাত্র দল সংগঠনে নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যে’র আত্মপ্রকাশ হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ (প্রধান), ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুতফুর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ঐক্যের এই কনভেনশনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেওয়ায় মিলনায়তনসহ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশে পরিণত হয়। বিদেশে ঘুরে লাভ হবে না: মির্জা ফখরুল

ফখরুল বলেন, ‘আমি বলতে চাই আর ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না। চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশের সকল মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বাঁচতে চায় আপনাদের হাত থেকে। আপনাদের নির্যাতন-অত্যাচার-চুরি-দুর্নীতি, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়া… সব কিছু থেকে মানুষ এখন বাঁচতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটা বড় যুদ্ধে নেমেছি। সেই যুদ্ধটা হচ্ছে একটা ভয়াবহ শক্তি, যাকে আপনারা-আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তি বলছি, এই ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে খান খান করে দিয়ে, আমাদের সমস্ত আপনজনগুলোকে আজকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশটাকে তাদের বিচারকের ভাষায় জাহান্নাম বানিয়েছে, তাদেরকে একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে আমরা নেমেছি।”

‘‘মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন না, হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। আপনারা যদি নিজেরা বাঁচতে চান, দেশকে বাঁচাতে চান, আপনাদের বাবা-মা-ভাই-বোনকে বাঁচাতে চান, তাহলে জেগে উঠতে হবে এবং ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে রাজপথে। লড়াই করে, সংগ্রাম করে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। আমাদের আজকে দৃপ্ত শপথ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদেরকে মুক্ত করতে হবে আমাদের দেশকে, আমাদের মানুষকে ভয়াবহ দানবের হাত থেকে। আমরা আশাবাদী যে ছাত্র ঐক্য তৈরি হয়েছে, এই যুবক-তরুণদের ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিঃসন্দেহে এই দানব ফ্যাসিবাদের পরাজয় ঘটবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিসহ সর্বক্ষেত্রে সরকারের ‘দলীয়করণ’, ‘লুটপাট’, ‘দুর্নীতি’র চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘অনেকে বলেন যে এখন তরুণদের সব ক্ষোভটা মোবাইল সেটে। স্ট্যাটাস দিলেই ক্ষোভ শেষ। ক্ষোভ মোবাইল সেটে দিলে শেষ হবে না। ক্ষোভ দেখাতে রাজপথে আসতে হবে।”

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র কনভেনশনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ঐক্যে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে যে আপনাদের সঙ্গে আমরা এবার যুদ্ধ জয় করতে পারবো।”

জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এই কনভেনশনে সংগঠনের নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাগপার একাংশের রাশেদ প্রধান, আরেক অংশের খন্দকার লুতফুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, এলডিপির নুরুল আলম, বিএনপির রাকিবুল ইসলাম বকুল, কবি আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম প্রমুখ নেতাও বক্তব্য রাখেন। 

/এসটিএস/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
রসিদ দিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি, অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে
খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার
আইনজীবীকে মারধর করে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
সর্বশেষ খবর
হারের শঙ্কা উড়িয়ে রিয়ালকে সাত পয়েন্ট পেছনে ফেললো বার্সা
হারের শঙ্কা উড়িয়ে রিয়ালকে সাত পয়েন্ট পেছনে ফেললো বার্সা
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
রাস্তায় কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং, গ্রেফতার ২
রাস্তায় কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং, গ্রেফতার ২
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন