বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা সারা দেশ থেকে খবর পাচ্ছি বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তথাকথিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে নতুন এক অভিনব কদর্য মিশনে নেমেছেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায়, প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং উপকারভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতারা। প্রায় প্রতিটি সমাবেশে জেলা প্রশাসক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনও-সহ থানার ওসিরা উপস্থিত থাকছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গ্রাম থেকে কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের সমাবেশে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই সমাবেশে শেখ হাসিনা সরকারের কথিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অবহিতকরণ এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
রিজভী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় সব মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিজিএফ, টিসিবি, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সব ধরনের সুবিধাভোগীদের কার্ড ভোটের আগে জমা দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে এসে তা ফেরত নেওয়া হবে বলে অধিকাংশ সমাবেশে জানানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক মাত্রায় ভোটার উপস্থিতি এবং ভোট প্রদানের শতকরা হার বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্য এই ভয়াবহ কূটকৌশল নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, আরেকটি একতরফা পাতানো নির্বাচন আয়োজনে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী দলদাস পুলিশ ও আওয়ামী দলদাস প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধী দল-মত উচ্ছেদ করে পুরোনো কায়দায় নতুন কোনও ফর্মুলায় ভোটরঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য।