বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা ফুলের তোড়া পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে গুলশান থানা থেকে কয়েকজন এসে ফুল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, টহল পুলিশ দেখে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে ফুল নিয়ে আসার কোনও ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশের ১৫ সদস্যের একটি দল রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অর্পণের জন্য এনে রাখা ফুলের রিং তারা নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আগামীকাল সকালে কেউ চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও শাসিয়ে যায়।’
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে সেখানে অবস্থানের সময় পুলিশ বিভিন্ন কক্ষের ভিডিওচিত্র ধারণ করে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশ প্রবেশের ঘটনার সময় অফিস স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।’
এমন তথ্য জানানোর কিছুক্ষণ পর দলটির পক্ষ থেকে আবার জানানো হয়, ‘গুলশান থানা থেকে ফুলের তোড়া গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে গুলশান পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয় থেকে অল্পসংখ্যক নেতাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যেতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শামীম হোসেন রিফাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশি টহল থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ফুল নিয়ে যাওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফুল দিতে যাবেন, এতে কোনও বাধা নেই।’