হৃদপিন্ডে ‘পেসমেকার’ বসানোর পরে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, গতকাল তাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে… তা করার কথা না। তিনি সিসিইউতে ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা এডজাস্ট করতে পারেন না, যে কারণে সিসিইউর ফ্যাসিলিটিজগুলো কেবিনে নিয়ে তাকে শিফট করা হয়। সেখানে তিনি এখন পর্যন্ত স্ট্যাবেল আছেন।’
রবিবার (২৩ জুন) এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার হৃদপিন্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক থাকায় আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। পরে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়।’
‘ফাইনালি আবেদন রিজেক্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, পরিবারের আবেদনের পর তাকে (খালেদা জিয়া) বাইরে পাঠানোর জন্য সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রায়। ফাইনালি যখন এটা (আবেদন) প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে তিনি রিজেক্ট করেছেন। শুধু এটা নয়, আমরা বিভিন্ন মিশনের কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম। তার চেষ্টা করেছেন, তারা বার বার চেষ্টা করেছেন… ফেরত এসেছেন। তারা বলেছেন, সরি ভাই, উনি শুনলেন না… শি ইজ ভেরি ভিনডেক্টিভ….এই উচ্চারণটা করেছেন।’
এর উদ্দেশ্যটা কী– প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উদ্দেশ্যটা হলো, রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে আগে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো, কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপর থেকে তিনি যাতে কোনোভাবেই মুক্তি না পান, তা চলছে এখন পর্যন্ত।’
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন ফখরুল। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।