বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ করেছি। আমরা যুগপতের প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে আলোচনাসভা ও মতবিনিময় করছি। এরপর ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দেন আমির খসরু।
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, দেশের দুর্নীতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশবিরোধী চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে জনগণের প্রত্যাশাপূরণে কী কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আমির খসরু। তার ভাষ্য, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা ও রক্তাক্ত করেছে। এটা সারা দেশ ও বিশ্বের মানুষ দেখেছে। নিজস্ব দাবিতে হলেও এটা সামগ্রিক আন্দোলনের অংশ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, তারেক রহমান, আব্দুল্লাহ, মো. ইমাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা, চরম দুর্নীতি ও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য এ সবকিছু নিয়েই বাংলাদেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তারা রাজনীতিবিদদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন।’
আমির খসরু আরও বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে- এ মুহূর্তে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন চায়। আমাদের প্রবল কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতনের প্রয়োজনীয়তা জনগণ অনুভব করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হবে। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের সমর্থন ও তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা কর্মসূচি পালন করবো।’