নয় বছরের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে বাধা ছিল হাইকোর্টের। ২০১৫ সালে আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেছিলেন। এরপর থেকে কোনও মিডিয়া তার বক্তব্য প্রচার করতে পারেনি।
সোমবার (৬ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই গণমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার হচ্ছে।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। ভার্চুয়ালি এই বক্তব্যে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়েও কথা বলবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলরা বলছেন, দলীয় আইনজীবীরা হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক আইনজীবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে দলের আইনজীবীরা আইনি পথে নিষ্পত্তি করবেন। আর অনেক গণমাধ্যমে যেহেতু তার বক্তব্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচার হচ্ছে, সেখানে দ্রুতই এ বিষয়ে নির্দেশনা আসবে বলে মনে করেন এই নেতা।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘এত দিন দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার হতো না মিডিয়ায়। সোমবার থেকে গণমাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচার হচ্ছে। আদালতের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য প্রচারে নেতাকর্মীরা উৎসাহিত ও উজ্জীবিত।’
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। ওই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ‘পলাতক আসামি হওয়ায়’ গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে তথ্যসচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
দলের একজন নেতা বলেন, ‘তারেক রহমানকে লাইভে আনার কারণে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিল সদ্য ক্ষমতাহীন আওয়ামী লীগ।’