জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, জনগণের ভোগান্তি যেন না হয়, সে সময়ে নির্বাচন দিতে। এর আগে সংস্কার ও বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সময় বেঁধে দেননি।’
শনিবার (২৪ মে) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি— জনগণের ভোগান্তি যেন না হয়, সে সময়ে নির্বাচন দিতে। এর আগে সংস্কার ও বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। আরেকটি দল জুলাই ঘোষণার বিষয়ে কথা বলেছে। এটা তাদের ব্যাপার।
গত কয়েকদিন দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত পরশুদিন প্রধান উপদেষ্টা একটা মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন। যদিও তিনি দেননি। তারপরও দেশবাসী জেনে গেছে। তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। যতটুকু জানা গেছে, বিভিন্ন দাবিসহ সাম্প্রতিক আন্দোলনে কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ ছিলেন তিনি। তাই এমনটা শোনা গিয়েছিল। আমরা মনে করি, দেশ ভালো থাকলে সবাই ভালো থাকবে।
জামায়াত আমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের থাকবেন না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কথা উঠেছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা অংশগ্রহণমূলক ভোট চাই। তবে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি প্রধান উপদেষ্টা।
কোনও উপদেষ্টার পদত্যাগ চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষিতে আজকে এই বৈঠক। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমি যেনতেনভাবে থাকতে চাই না। সবার নিয়ে থাকতে চাই।