প্লে অফ নিশ্চিত করার পর প্রথমে গুজরাট টাইটান্স, তারপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হার দেখেছে আইপিএল থেকে বিদায় নেওয়া দুটি দলের কাছে। এবার একই দুর্ভাগ্য বরণ করতে হলো পাঞ্জাব কিংসকে। মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর সালমান রিজভীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরেছে দলটি। দিল্লি তাদের এই আসরের শেষ ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেটে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাঞ্জাব। ৮ রানেই তাদের ওপেনিং জুটি ভেঙে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে প্রিয়ানশ আরিয়াকে (৬) ট্রিস্টান স্টাবসের ক্যাচ বানান বাংলাদেশি পেসার।
প্রভসিমরান সিংয়ের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান জস ইংলিস। মাত্র ১২ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩২ রান করেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার।
ভিপ্রাজ নিগমের টানা দুই ওভারে ইংলিস ও প্রভসিমরান ফিরে যান। ১৮ বলে ২৮ রান করেন প্রভসিমরান।
পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। তবে মার্কাস স্টয়নিস ১৬ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে দুইশর ওপরে রান এনে দেন।
মোস্তাফিজের পরের দুই শিকার শশাঙ্ক সিং (১১) ও মার্কো ইয়ানসেন (০)।
৮ উইকেটে ২০৬ রান করে পাঞ্জাব। মোস্তাফিজ চার ওভারে সবচেয়ে কম ৩৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান ভিপ্রাজ ও কুলদীপ যাদব।
বড় লক্ষ্যে নেমে ১০ ওভারেই ৯৩ রান তোলে দিল্লি। লোকেশ রাহুল ও ফাফ ডু প্লেসির ৫.৩ ওভারে ৫৫ রানের জুটি সেই ভিত গড়ে দেয়। ৩৫ রানে রাহুল ও ২৩ রানে ডু প্লেসি বিদায় নেওয়ার পর সেদিকুল্লাহ অটল ২২ রানের ছোট ইনিংসে অবদান রাখেন।
১১তম ওভারে সেদিকুল্লাহ আউট হলে করুণ নায়ারের সঙ্গে জুটি গড়েন সামির রিজভী। এই দুজনের ৩০ বলে ৬২ রানের ঝড়ো জুটিতে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দিল্লিকে। করুণ ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রান করে আউট হন।
জয়ের বাকি কাজ শেষ করে আসেন রিজভী ও স্টাবস। দুজনে ২৭ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান। ২৫ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজভী। ১৮ রানে টিকে ছিলেন স্টাবস।
১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৮ রান করে দিল্লি।
১৩ ম্যাচে চতুর্থ হারে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে পাঞ্জাব। শীর্ষ দল গুজরাটের (১৮) চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে এবং সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে বেঙ্গালুরু।