জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়ে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিদেশের মাটিতে একটি দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সরকার প্রধানের এমন বৈঠক পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে আমরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিব্রত। এ কারণেই ঐকমত্য কমিশনের গতকালের (মঙ্গলবার) বৈঠকে আমরা অংশগ্রহণ করিনি। তবে প্রধান উপদেষ্টাসহ কমিশনের অনুরোধে আজকে এসেছি। এদিকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের সংলাপের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি
ডা. তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনি ডেটলাইনের কথা বলেছেন। এটি নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। লন্ডনে বৈঠকের বিষয়েও কোনও প্রশ্ন নেই। তবে যৌথ বিবৃতি নিয়ে শুধু জামায়াত নয়—অনেক দলই বিব্রত। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে এসে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলে ভালো হতো।
গতকাল না আসার ব্যাখ্যা ও প্রধান উপদেষ্টার টেলিফোন
ডা. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা না আসার কারণ সাংবাদিকরা বের করতে পারেননি। তবে মূল কারণ যৌথ বিবৃতি। আপনারা জানেন লন্ডনে বৈঠকের আগের দিন আমরা স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি। কিন্তু যখন দেখলাম নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে, তখন নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমরা মনে করেছি, বিষয়টি সঠিক হয়নি। তাই প্রাথমিক প্রতিবাদ হিসেবেই গতকালের অনুপস্থিতি। তবে রাতে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের আমিরকে ফোন দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন আজকের বৈঠকে অংশ নিতে। তাই অংশ নিয়েছি। আশা করি সামনের সব বৈঠকে থাকবো।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী—আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়তো এখনও বুঝেননি। কারণ যিনি এক মাসে একটি ভবনের তালা খুলতে পারেননি, তিনি নির্বাচনের সময় কী করতে পারবেন তা জানা হয়ে গেছে।
সাংবিধানিক কাউন্সিলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে চায় না জামায়াত
ডা. তাহের বলেন, প্রথমত সাংবিধানিক কাউন্সিলের পক্ষে জামায়াত। তবে এর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সম্পৃক্ততা চাই না। কারণ তারা দুই জনই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়াও কোনও বিষয়ে বিরোধ হলে সমাধান করবেন কে? তাই সেখানে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও স্পিকার থাকবেন।