X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জুন ২০২৪, ২১:২৫আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ২১:৩১

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতির দিকে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুইটা-তিনটা বাড়ি। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুইটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারবো। না হলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কী করবো? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন, তারা অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি)। ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী করবে? 

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অর্থবিল ২০২৪ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।

নির্বাচনের সময় হলফনামা দিতে হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কী সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচবছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়লো, একশগুণ না পাঁচশগুণ বাড়লো, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে।

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা প্রথমে চাকরিতে ঢোকেন তারা যদি হলফনামা দিতেন, তারপর পাঁচ বছর-১০ বছর পর হলফনামা দিতেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো, তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না।’

তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি আমলনামা তৈরি করা হয়, তাহলে মনেহয় দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

এমপিদের নির্বাচনি এলাকায় কোনও কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায়, সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনি এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়। সে জন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আইন কী বলে
প্রধানমন্ত্রীর লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে: পঙ্কজ নাথ
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে, ক্ষতিটা কী হচ্ছে?
সর্বশেষ খবর
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা: খালাস চেয়ে হাইকোর্টে হিটু শেখের আপিল
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা: খালাস চেয়ে হাইকোর্টে হিটু শেখের আপিল
মামলার নথি জালিয়াতি, কক্সবাজারের সাবেক ডিসিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
মামলার নথি জালিয়াতি, কক্সবাজারের সাবেক ডিসিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
নির্বাচনি বাজেটে কোনও কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনি বাজেটে কোনও কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বরগুনায় একদিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৯৩ জন
বরগুনায় একদিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৯৩ জন
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক