ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগ থেকে ঢাকা মহানগর যুবলীগের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যুবলীগের নেতা আবুল হাছনাত কাজলসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। কাজলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান আহতরা। তারা জানান, বেলা ১২টার দিকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ গণসংযোগ শুরু করেন। এই সময় দয়াগঞ্জ সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগ থেকে হঠাৎ ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এই সময় উপস্থিত যুবলীগের নেতারা প্রতিবাদ করলে তাদের ব্যাপক মারধর ও যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন, সাবেক সভাপতি ফকরুল ইসলাম মুরাদসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- জীবন, শেখ রুমান, জুয়েল হাওলাদার, জাকির হাওলাদার, কাওছার আহমেদ নিপু, রাজীব, জালাল ও আলামিন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম রেজা বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগ থেকে হঠাৎ যুবলীগের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। তারা নাটক সাজিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাচ্ছে। তাই গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায়। তারা জানে না, যুবলীগ প্রতিরোধ করলে বিএনপির প্রার্থী কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আমরা তা করবো না। নেতাদের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনও কিছুই করবো না।’
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনু সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা। সেই সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করেছে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে বিএনপি প্রমাণ করেছেন শহীদ জিয়ার অনুসারীরা মরে যায়নি।’