নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত ও অজানা সংখ্যক শ্রমিক নিখোঁজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি অবিলম্বে নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজে বের করা, কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশে ‘কল-কারখানা পরিদর্শন কর্তৃপক্ষের’ সক্রিয় উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার (১১ জুলাই) রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর ভার্চুয়াল সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার উপস্থাপনায় ‘সজিব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায়’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকের মৃত্যু, করোনা অতিমারি পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রদত্ত বিজ্ঞাপন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় পলিটব্যুরোর সদস্যরা কতিপয় প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। ‘নিরাপদ কর্ম পরিবেশ’ শ্রমিকের মৌলিক অধিকার। শোভন ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রথমত মালিক কর্তৃপক্ষের এবং তা নিশ্চিত করার তদারকির দায়িত্ব সরকারি পরিদর্শন কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে উভয়ই চরম গাফিলতি দেখিয়েছে, যা ক্ষমার অযোগ্য ও চরম অপরাধ।
সভায় নিহত-আহত শ্রমিকদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন-১২১ অনুযায়ী, আজীবন আয়ের সমান ক্ষতি পূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়।
সভার আলোচনায় অংশ নেন— সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরুল আহসান, এনামুল হক এমরান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, হাজী বশিরুল আলম, নজরুল ইসলাম হাক্কানী প্রমুখ।