অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধ করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি)। শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, দোকানপাট-বাড়িঘর লুটপাট, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধে রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি)।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় বলেন, দেশ আজ নরকে পরিপূর্ণ হয়েছে। কোনও মানুষের নিরাপত্তা নেই। অতি দ্রুত এই অরাজকতা বন্ধে দেশবাসীকে বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক, সুখী, সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
বিএসপি’র দাবিগুলো হলো-
১. চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার পরিবারের একজন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি ব্যবস্থা করতে হবে এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. ২০০১-২০২৪ সাল পর্যন্ত সব সংখ্যালঘু নির্যাতনের পুনঃতদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৫. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেক পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি প্রদান।
৬. অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের কাছে সম্পত্তি হস্তান্তর।
৭. ১৯৭২ সালের সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তন।
৮. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে স্থায়ী সমাধাণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা।
৯. রাষ্ট্রীয় পদ্ধতির সংস্কার করে বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনুপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অশোক ধর, বাকশালের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জহিরুল কাইয়ুম, অ্যাড. লিটন বণিক প্রমুখ।