রাজধানীর খিলক্ষেতে রেলের জায়গায় অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি মন্দির অপসারণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। সোমবার (২৩) রাতে একটি মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়। তারা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টা মধ্যে মন্দির সরিয়ে নিতে হবে।
সুমন সুধা নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাতে হঠাৎ একদল মানুষ মন্দিরে এসে ভিড় করে। এসময় তারা মঙ্গলবার বেলা ১২টার ভেতরে মন্দির সরিয়ে ফেলার দাবি জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিকুর রহমান। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, এমন একটি ঘটনা জানতে পেরেছি৷ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা থানায় আছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আগামীকাল স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
মন্দির সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খিলক্ষেতের অস্থায়ী মন্দির সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এসে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অনেক কিছু বলে। তবে পুরো বিষয়টি আমরা দেখছি, যাতে করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
খিলক্ষেত থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, রেলের জায়গাতে মন্দির ছিল। এতদিন টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আজ সকালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসী ও মন্দির কমিটির সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষ আমাদের জানিয়েছে এ বিষয়ে আর কোনও ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। একইভাবে মন্দির থাকা না থাকার বিষয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছে। মন্দির থাকা না থাকার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষ দেখবে।