‘একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আমি উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভূয়সী প্রশংসা করছি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এই প্রজন্মকে লালন-পালন করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানানন্তরিত হয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রমাণ করেছে।’
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উত্তরা ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তনে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একথা বলেন। এই সমাবর্তন বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার- ৪ (নবরাত্রি হল)-এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।
শিক্ষমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ এই দিনটি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য দিন, কারণ আজ আমরা আমাদের স্নাতকদের একাডেমিক সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। আমি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানাতে চাই যারা তাদের একাডেমিক যাত্রা জুড়ে অটুট নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল প্রদর্শন করে এই পর্যন্ত এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আমাদের সরকার দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজকের গ্রাজুয়েটরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
সমাবর্তন বক্তার ভাষণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে অত্যন্ত তাৎপর্যময়। বাংলাদেশের শিক্ষার বিস্তার এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্যে একটি অনুকরণীয় মডেল। আপনাদের অর্জিত জ্ঞান আপনারা শুধু নিজেদের জন্যেই ব্যবহার করবেন তা নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগাতে হবে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্যে। আপনারা হবেন আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দূত। বহির্বিশ্বে আপনারা হবেন রাষ্ট্রের দূত।’
উত্তরা ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন-২০২৩ এ আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বদরুল ইকবালসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এবং সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা পপ সংগীত ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’এর সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।