গত ৫ দশক ধরে পার্থ স্টেডিয়াম মানে ছিলো গতি আর ফণা তুলে আসা বাউন্সের প্রতিশব্দের নাম। দৃশ্যমান পিচও ছিলো বৈচিত্র্যে ভরা। এমনভাবে ফাটল ধরতো যাতে চাবি হারিয়ে যাওয়ার মতো গর্ত তৈরি হয়ে থাকতো। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টেস্টটি পার্থে হলেও ভেন্যুটি পুরোপুরি নতুন। ওয়াকার ভয়ঙ্কর পিচের জায়গায় পার্থে টেস্ট ম্যাচটি হচ্ছে পার্থ শহরেরই নতুন ভেন্যু ওপটাস স্টেডিয়ামে। নতুন ভেন্যু হলেও ইতিহাস রক্ষায় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় ফেলতে প্রস্তুত এই স্টেডিয়াম। তেমনই আভাস কিউরেটরের।
এই পার্থে ভারতের অতীত ইতিহাসও খুব একটা ভালো নয়।ওয়াকায় এখন পর্যন্ত ৪টি টেস্ট খেলেছে ভারত। যার ৩টিতেই হার। যদিও এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট জিতে আত্মবিশ্বাসী বিরাট কোহলির দল। যাদের আছে পেস আক্রমণে ভরা লাইন আপ। ভেন্যু পাল্টালেও চিরচেনা সেই পেস আর বাউন্স তৈরিতে ড্রপ ইন পিচের ব্যবহার হবে এখানে। এক কথায় নতুন এই স্টেডিয়ামের অভিষেক হচ্ছে এই টেস্ট দিয়ে। পূর্বের ইতিহাস ভালো না হলেও সবুজ ঘাসে ভরা উইকেট দেখে খুশি হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ‘এমন প্রাণবন্ত পিচ দেখে আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’ এমন পিচেও নিজেদের পেস আক্রমণে ভরসা তার, ‘যেমন আক্রমণ আছে আমাদের তারা যে কোনও প্রতিপক্ষেই আউট করতে পারে। ওদের পেয়ে অধিনায়ক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ।’
ভারতের মতো অস্ট্রেলিয়ারও আছে পেস আক্রমণে ভরা লাইন আপ। তাই নতুন পার্থে পরীক্ষাটা হবে ব্যাটসম্যানদের। স্বাগতিকদের পেস আক্রমণের রসদ নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও ব্যাটসম্যানরা জ্বলে না উঠলে এই টেস্টেও ভরাডুবি হতে পারে। এমন অবস্থায় শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টকে ঘিরে নতুন পিচ নিয়ে কিছুটা সংশয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন, ‘এখানে খুব বেশি খেলা হয়নি। তারপরেও সবুজ দেখা যাচ্ছে। আশা করছি প্রথম কয়েক দিন ভালোই লড়াই হবে এখানে।’