X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিকো ভাবতেই পারেননি কাতারের বিপক্ষে খেলবেন!

তানজীম আহমেদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:০৫আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:০৯

আনিসুর রহমান জিকো ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি জিকোর সঙ্গে মিলিয়ে তার নাম রাখা। তবে ফুটবলে জিকোর মতো স্ট্রাইকার তিনি নন, খেলেন গোলবারের নিচে। অদম্য সাহস তার শক্তি। ফুটবলে গভীর আত্মনিবেদন। বলা হচ্ছে আনিসুর রহমান জিকোর কথা। কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে উঠে এসে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ২৩ বছর বয়সী গোলকিপার।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে যেভাবে গোলবারের নিচে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে কাতারের একের পর এক আক্রমণ নস্যাৎ করে গেছেন, সবাই বিস্মিত! বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে হেরে গেলেও জিকোর লড়াকু পারফরম্যান্স সবার দৃষ্টি কেড়েছে। অথচ তরুণ এই গোলকিপারে এমনটা ভাবতেই পারেননি যে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে গোলবার আগলাতে হবে তাকে! ঢাকার ফ্লাইট ধরার আগে শনিবার দোহা থেকে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে কাতার ম্যাচে নামার আগে ও পরের নানা অনুভূতি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন জিকো।

অভিজ্ঞতার কারণে এই ম্যাচে নামার কথা ছিল আশরাফুল ইসলাম রানার। কিন্তু ইংলিশ কোচ জেমি ডে কী মনে করে জিকোর ওপরই ভরসা রাখলেন। আর জিকোও সেই ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন একের পর এক শট রুখে দিয়ে।

বাংলাদেশের পোস্টে অন টার্গেট শট ছিল ১৫টি। জিকো সরাসরি গোল বাঁচিয়েছেন ১০টির মতো। এ কারণেই দল পাঁচের বেশি গোল খায়নি। জিকো বলছিলেন,‘ গোলসংখ্যা একটু বেশি হয়ে গেছে। দুই গোল কম হলে ভালো হতো। পাঁচ গোল আসলে আশা করিনি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে গেছি। আমার খেলা নিয়ে সবার প্রশংসা শুনতে পাচ্ছি।’

পোস্টের নিচে দাঁড়াতে হবে তাকে, যখন এই খবর শুনলেন, তাকে অন্যরকম এক ভালো লাগা ছুঁয়ে গেছে। অনেকদিন ধরেই ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে থাকলেও বড় ম্যাচে নামা হয়নি। ঘরের মাঠে গত মাসে নেপালের বিপক্ষে অভিষেক। কিন্তু কাতার ম্যাচে নামতে হবে এটা শুনে প্রথমে তার বিশ্বাসই হতে চায়নি,‘শুরুতে আমি ভাবতেই পারিনি যে কাতার ম্যাচে খেলবো। বিশ্বাসই হচ্ছিল না। কেননা আমার তো বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই। হয়তো কোচ আমার আগের ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স দেখে ভরসা রেখেছেন। আমি আমার মতো চেষ্টা করে গেছি। কোচের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাঠে।’

কাতার ম্যাচে একপর্যায়ে পায়ে ব্যথা পান। মনে হচ্ছিল আর খেলতে পারবেন না। কিন্তু অসীম সাহসী জিকো শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। তার কথায়,‘পায়ে বেশ ব্যথা অনুভব হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল খেলতে পারবো না। কিন্তু তখন নতুন গোলকিপার নামলে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, ট্রেনার এসে বলার পর শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেছি। এখনও ব্যথা আছে।’

এখন অনুমিতভাবেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগামী তিনটি ম্যাচে জেমি ডের প্রথম পছন্দ থাকবেন জিকো। কাতার ম্যাচে যেখানে ৭৬ শতাংশ বল ওদের পায়ে ছিল, অন টার্গেট শট গেছে একের পর এক, সেখানে বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার তেকাঠির নিচে লড়ে গেছেন নির্ভয়ে। জিকোর আইডল বাংলাদেশের সাবেক তারকা গোলকিপার আমিনুল হক। আমিনুলের মতো জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলতে চান। জিকো বলেন,‘আগামী ম্যাচগুলোতে কোচ আমাকে খেলাবেন কি না তা সময় বলে দেবে। তবে আমি জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে চাই। গোলবার আগলাতে চাই। যেমনটা আগে আমিনুল ভাই করে দেখাতেন। তিনিই আমার আইডল।’

খেলার প্রতি একাগ্রতাই জিকোকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। ঘরোয়া ফুটবলে যেমন ভালো করছেন, তেমনি এখন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরছেন। অনেক দূরেই দৃষ্টি এখন তার।

 

 

 

/পিকে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হামাসকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
হামাসকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হকের মৃত্যু
প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হকের মৃত্যু
‘লাকি সেভেন’ জার্সি ফিরে পেয়ে খুশি সানজিদা
‘লাকি সেভেন’ জার্সি ফিরে পেয়ে খুশি সানজিদা
সাবিনা, মারিয়া ও শামসুন্নাহারের হ্যাটট্রিকে ১৯ গোল
সাবিনা, মারিয়া ও শামসুন্নাহারের হ্যাটট্রিকে ১৯ গোল
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?