ধর্মশালা স্টেডিয়াম থেকে দেখা যায় মনোরম কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়।
ছবির মতো দেখতে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আম্পায়ার এবং বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা।
টসের সময় দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও হাশমতউল্লাহ শহীদি, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট ও ধারাভাষ্যকার মাইকেল আর্থারটন।
বাঘ ও বিভিন্ন সাজে খেলায় রঙ ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
ছোটবড় বিভিন্ন বয়সী টাইগার সমর্থকদের উল্লাস।
বিশ্বকাপে না থেকেও ছিলেন তামিম ইকবাল। গ্যালারিতে এই ছবি মন ছুঁয়ে গেছে অনেকের।
আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করে বল হাতে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান।
ইব্রাহিম জাদরানের পর রহমত শাহ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসানের বলে। ৮ ওভারে ৩০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করার পাশাপাশি সাকিব আল হাসান ক্যাপ্টেন্সিতে অনবদ্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে স্পিনে কাবু করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অধিনায়কের পথ ধরে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান আউট হয়েছেন মিরাজের বলে। ৯ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ধর্মশালায় মোহাম্মদ নবীকে বোল্ড করে তাসকিন আহমেদের গর্জন।
দুই আফগান ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং নাভিন-উল-হককে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গে মিরাজের উড়ন্ত উল্লাস।
বাংলাদেশের স্পিনার ও পেসারদের তোপের মুখে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান।
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৫) রানআউট হওয়ার পর লিটন দাস (১৩) বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৭ রানের জুটির সুবাদে জয়ের পথ সুগম হয়ে যায়।
শান্ত ৮৩ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ৭৩ বলে ৫৭ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মিরাজ।
মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিশ্বকাপে আফগানদের গুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।